নিজস্ব প্রতিবেদক
১৪ আগস্ট ২০২৪
আগামীকাল ১৫ আগস্ট বৃহস্পতিবার বিএনপি চেয়ারপার্সন, সাবেক প্রধানমন্ত্রী, বেগম খালেদা জিয়ার ৭৯তম জন্মদিন। প্রতিবছর দলের পক্ষ থেকে দিবসটি ঘিরে কেককাটাসহ আনুষ্ঠানিকভাবে নানা কর্মসূচি থাকলেও এবার সেটি থাকছেনা। দলের অঙ্গ সংগঠনগুলো নিজেদের মতো করে জন্মদিন পালন করবেন। বিএনপির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, খালেদা জিয়া অসুস্থ অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তাই তারা জন্মদিন উদযাপনের কোনো কর্মসূচি রাখেনি। তবে আগামী শুক্রবার তার সুস্থতা কামনায় সারাদেশে দলের পক্ষ থেকে মিলাদ ও দোয়া মাহফিল পালিত হবে।
সূত্র মতে, বেগম খালেদা জিয়া ১৯৪৫ সালের ১৫ আগস্ট পশ্চিম দিনাজপুরের (ভারতের জলপাইগুড়ি) জন্ম গ্রহণ করেন। তার গ্রামের বাড়ি ফেনী জেলার ফুলগাজী গ্রামের বিখ্যাত মজুমদার বাড়ি। পিতা ইস্কান্দার মজুমদার ও মা তৈয়বা মজুমদার। ১৯৬০ সালে দিনাজপুর সরকারি স্কুল থেকে ম্যাট্রিকুলেশন পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন খালেদা খানম পুতুল। পরে দিনাজপুর সুরেন্দ্রনাথ কলেজে লেখাপড়া করেন তিনি। কলেজে পড়ার সময় তৎকালীন পাকিস্তান সেনাবাহিনীর ক্যাপ্টেন জিয়াউর রহমানের সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। জিয়াউর রহমান-খালেদা জিয়া দম্পতির দুই সন্তান তারেক রহমান পিনু আর আরাফাত রহমান কোকো। ২০১৫ সালের ২৪ জানুয়ারি মালয়েশিয়ার একটি হাসপাতালে নেওয়ার পথে মারা যান কোকো। ১৯৮১ সালের ৩১ মে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান কিছু বিপথগামী সেনা সদস্যের হাতে নিহত হন। এ সময় পর্যন্ত গৃহবধূই ছিলেন খালেদা জিয়া। পরে দলের নেতা-কর্মীদের আহবানে বিএনপির হাল ধরেন তিনি। ন্যায়নীতি ও আদর্শের কারণে তিনি দেশে এবং বিদেশে আপোষহীন নেত্রী হিসেবে পরিচিতি লাভ করেন। বেগম খালেদা জিয়া তিনবার বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর পদ অলঙ্কৃত করেন। দলের চেয়ারপার্সন হিসেবে একটানা ৩৮ বছর পূর্ণ করলেন স্বাধীনতা পরবর্তী দেশে সর্বোচ্চ সময় ধরে ক্ষমতায় থাকা দল বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির বর্তমান চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া।
বেগম খালেদা জিয়া শৈশব ও কৈশোর জীবন অতিবাহিত হয় দিনাজপুরের মুদিপাড়া গ্রামে। তার পিতা এস্কান্দার মজুমদার পেশায় ব্যবসায়ী ছিলেন। মা বেগম তৈয়বা মজুমদার ছিলেন দিনাজপুরের চন্দবাড়ির মেয়ে। বেগম খালেদা জিয়া পড়াশোনা করেন দিনাজপুর মিশন স্কুল এবং গার্লস স্কুল সুরেন্দ্রনাথ কলেজে। ১৯৮১ সালের ৩০ মে প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান কতিপয় বিপথগামী সেনা কর্মকর্তার গুলীতে বন্দর নগরী চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসে শাহাদাতবরণ করেন। জাতির সংকট মুহূর্তে একজন সার্থক গৃহবধূ ও মা থেকে বেগম জিয়া বিএনপিতে অপরিহার্য হয়ে পড়েন। বাস্তবতার নিরিখে তাকে রাজনীতিতে আসতে হয়েছে। ১৯৮২ সালের ২ জানুয়ারি বেগম খালেদা জিয়া জাতীয়তাবাদী দলের বিভিন্ন স্তরের নেতা-কর্মীর আহ্বানে তার স্বামীর প্রতিষ্ঠিত দল বিএনপির একজন প্রাথমিক সদস্য হিসেবে যোগদান করেন। মাত্র এক বছরের ব্যবধানে তিনি আন্তরিকতা, নিষ্ঠা, সততা, সাংগঠনিক প্রজ্ঞা ও জনপ্রিয়তার ক্ষেত্রে প্রশংসনীয় ভূমিকা রাখতে সক্ষম হন। ১৯৮৩ সালের মার্চ মাসে তিনি বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান নিযুক্ত হন। ১৯৮৩ সালের ১ এপ্রিল তিনি দলের বর্ধিত সভায় প্রথম বক্তৃতা করেন। বিচারপতি আব্দুস সাত্তারের অসুস্থতায় তিনি ১৯৮৪ সালের ১২ জানুয়ারি দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপার্সন এবং একই বছরের ১০ মে বিএনপির চেয়ারপার্সন হিসেবে বিনা প্রতিদ্বন্ধিতায় প্রথমবার নির্বাচিত হন। ১৯৯৩ সালে ১ সেপ্টেম্বর দলের চতুর্থ কাউন্সিলে দ্বিতীয়বার, ২০০৯ সালের ৪ ডিসেম্বর পঞ্চম জাতীয় কাউন্সিলে তৃতীয়বার এবং ২০২৭ সালের ১৯ মার্চ দলের দশম কাউন্সিলে চতুর্থবারের মতো বিনা প্রতিদ্বন্ধিতায় বিএনপির চেয়ারপার্সন নির্বাচিত হন।
বিএনপির চেয়ারপার্সনের দায়িত্ব গ্রহণ করার পরই নানা প্রতিকূলতার মধ্যে পড়েন বেগম খালেদা জিয়া। সাবেক সেনা প্রধান লে. জে. হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের স্বৈরশাসনের বিরুদ্ধে নানা প্রতিকূল পরিস্থিতিতেও দলকে ঐক্যবদ্ধ রেখে বেগম জিয়া তীব্র আন্দোলন গড়ে তোলেন। এরশাদের দীর্ঘ ৯ বছরের স্বৈরশাসনের বিরুদ্ধে শুধু আন্দোলনই নয়, তার সাথে কোন রকম সমঝোতা না করে অন্যায়ের বিরুদ্ধে জনগণের অধিকার আদায়ের সংগ্রামে তিনি আপোষহীন ভূমিকা পালন করেন। যে কারণে বেগম খালেদা জিয়া ন্যায় ও আদর্শের প্রশ্নে একজন আপোষহীন নেত্রী হিসেবে ব্যাপক খ্যাতি ও সুনাম অর্জন করেন। বেগম জিয়া তার দক্ষ নেতৃত্বের মাধ্যমে তীব্র আন্দোলন গড়ে তুলে এরশাদের পতন ত্বরান্বিত করেন। ১৯৮৩ সালে বেগম জিয়ার নেতৃত্বে সাত দলীয় ঐক্যজোট গঠিত হয়। ১৯৮৩ সালের সেপ্টেম্বরে ৭ দলীয় ঐক্যজোটের মাধ্যমে এরশাদের সামরিক শাসনের বিরুদ্ধে আন্দোলন শুরু হয়। ১৯৮৬ সাল পর্যন্ত পাঁচ দফায় আন্দোলন চলতে থাকে। ১৯৮৬ সালের ২১ মার্চ রাতে আ’লীগ সভানেত্রী সদ্য ছাত্র জনতার গণ আন্দোলনের মুখে দেশ থেকে পলায়নকারী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এরশাদের অধীনে নির্বাচনে অংশ নেবার সিদ্ধান্ত নিলে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন আরো তীব্র হয়। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ১৫ দল ভেঙ্গে ৮ দল ও ৫ দল হয়। ৮ দল নির্বাচনে যায়। খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে ৭ দল ও ৫ দল ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের নবসূচনা করে।
১৯৮৭ সাল থেকে খালেদা জিয়া ‘এরশাদ হটাও’ এক দফার আন্দোলন শুরু করেন। একটানা নিরলস ও আপোষহীন সংগ্রামের পর ১৯৯১ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত সংসদ নির্বাচনে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায় বিএনপি। তারই সুবাদে বেগম খালেদা জিয়া ১৯৯১ সালে জামায়াতে ইসলামীর সমর্থনে প্রথমবারের মতো দেশের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার গৌরব অর্জন করেন। এরপর ১৯৯৬ সালে ১৫ ফেব্রুয়ারি দ্বিতীয়বার এবং ২০০১ সালে জোটগতভাবে নির্বাচন করে তৃতীয়বারের মতো প্রধানমন্ত্রী হন খালেদা জিয়া। তিনি একমাত্র নেতা যিনি এ পর্যন্ত সর্বোচ্চ ৩ বার বৈধভাবে, সমালোচনাহীন নির্বাচনের মাধ্যমে দেশের প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেছেন। এছাড়া দু’বার বিরোধীদলীয় নেতার ভূমিকা পালন করেন।
বেগম জিয়া দক্ষিণ এশীয় আঞ্চলিক সহযোগিতা সংস্থার (সার্ক) দু’বার চেয়ারপার্সনের দায়িত্ব পালন করেন। নির্বাচনের ইতিহাসে খালেদা জিয়ার একটি অনন্য রেকর্ড হচ্ছে গত ৫টি সংসদ নির্বাচনে ২৩ আসনে প্রতিদ্বন্ধিতা করে সবকটিতেই তিনিই জয়ী হয়েছেন। বহুদলীয় গণতন্ত্রের প্রবক্তা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের মৃত্যুর পর বেগম জিয়াই একমাত্র নেত্রী যিনি গণতন্ত্রের জন্য কোনো অন্যায় এবং দেশী-বিদেশী ষড়যন্ত্রকারীদের সাথে আপোষ করেননি। নানা ঘটনাবহুল রাজনৈতিক জীবনের অধিকারী বেগম জিয়া বিভিন্ন ক্ষেত্রে দূরদর্শীতার স্বাক্ষর রাখতে সক্ষম হন।
সেনা সমর্থিত ওয়ান ইলেভেনের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে খালেদা জিয়াকে ২০০৭ সালের ৩ সেপ্টেম্বর গ্রেফতার করা হয়। দীর্ঘদিন কারাবাসের পর তিনি আইনী লড়াইয়ের মধ্যদিয়ে সবকটি মামলায় জামিন নিয়ে মুক্তি লাভ করেন। কারাগারে থাকাকালে তাকে বিদেশে নির্বাসনে পাঠানোর চেষ্টা করা হয়। কিন্তু তিনি যেতে রাজি না হওয়ায় ষড়যন্ত্রকারীদের চেষ্টা সফল হয়নি। নীলনকশার নির্বাচনে তাকে হারানোর পর গেল তিনবারের ক্ষমতাদখলকারী আওয়ামী সরকার তাকে তার ক্যান্টনমেন্টের বাড়ি থেকে উচ্ছেদ করে। এমন অভিযোগ বিএনপির। তার নামে নতুন করে মামলা দেয়া হয়েছে। সরকার তাদের দলীয় নেতা-কর্মীর নামে দায়ের করা মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার এমনকি আদালত কর্তৃক মৃত্যুদন্ড প্রাপ্ত আসামীদের সাজা মওকুফ করে নিলেও বেগম খালেদা জিয়ার নামে দায়েরকৃত কোন মামলা তারা প্রত্যাহার করেনি। বরং মামলার চার্জশিট দেয়া হচ্ছে। দেয়া হয়েছে নতুন মামলা। এমন অবস্থা হয়েছে যে প্র্রতি সপ্তাহে তাকে আদালতে হাজিরা দিতে হয়েছে।
২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি কথিত জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় পাঁচ বছরের সাজা নিয়ে কারাগারে গিয়েছিলেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া। ওই বছরের অক্টোবরে হাইকোর্টে আপিল শুনানি শেষে সাজা বেড়ে হয় ১০ বছর। এরপর জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায়ও আরও সাত বছরের সাজা হয় বিএনপি নেত্রীর। তিনি তখনও পুরান ঢাকার নাজিমউদ্দিন সড়কের কারাগারে ছিলেন। দেশে করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের পর পরিবারের আবেদনে ২০২০ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার নির্বাহী ক্ষমতা প্রয়োগ করে খালেদার দণ্ড ছয় মাসের জন্য স্থগিত করেন। ওই বছরের ২৫ মার্চ সাময়িক মুক্তি পেয়ে গুলশানের বাসা ফিরোজায় ফেরেন খালেদা। তখন থেকে তিনি সেখানেই আছেন। এর পর থেকে পরিবারের আবেদনে প্রতি ছয় মাস পরপর বিএনপি প্রধানের মুক্তির মেয়াদ বাড়ায় সরকার। প্রতিবারই তাকে দুটি শর্ত দেওয়া হচ্ছে। তাকে বাসায় থেকে চিকিৎসা নিতে হবে এবং তিনি বিদেশ যেতে পারবেন না। তাকে বিদেশে পাঠানোর জন্য পরিবারের তরফ থেকে বেশ কয়েকবার আবেদন করা হলেও ওই শর্তের যুক্তি দিয়েই বার বার তা প্রত্যাখ্যান করা হয়।
৭৯ বছর বয়সী খালেদা জিয়া দীর্ঘদিন ধরে লিভার, কিডনি, ডায়াবেটিস, আর্থ্রাইটিস ও হৃদরোগে ভুগছেন। সাময়িক মুক্তির পর তাকে কয়েক দফা হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিতে হয়েছে। তার চিকিৎসায় গঠিত মেডিকেল বোর্ড বারবার বলেছে, লিভার সিরোসিসে আক্রান্ত খালেদা জিয়ার লিভারের চিকিৎসা দেশে সম্ভব নয়। দ্রুত ‘বিদেশে উন্নত চিকিৎসা কেন্দ্রে নিয়ে’ তার লিভার প্রতিস্থাপন জরুরি হয়ে পড়েছে। কিন্তু সরকার তাকে বিদেশে পাঠানোর অনুমতি না দেওয়ায় বিদেশ থেকে কয়েকজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসককে ঢাকায় এনে এভারকেয়ার হাসপাতালে খালেদা জিয়ার লিভারে ট্রান্সজুগলার ইন্ট্রাহেপাটিক পোরটোসিসটেমিক সান্ট (টিপস) সম্পন্ন করা হয়।
এদিকে ছাত্র জনতার গণ অভ্যুত্থানে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের পতন ঘটলে গত ৬ আগস্ট বঙ্গভবন থেকে গণমাধ্যমে পাঠানো প্রেস রিলিজে রাষ্ট্রপতি খালেদা জিয়াকে স্থায়ী মুক্তির ঘোষণা দেন। এর আগে জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন জানান, কারাবন্দি বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়াসহ সব রাজনৈতিক বন্দিকে শিগগির মুক্তি দেওয়া হবে। জানা গেছে, রাষ্টপতি মো. শাহাবুদ্দিন সংবিধানের ৪৯ অনুচ্ছেদের ক্ষমতাবলে সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার দন্ড মওকুফ করেছেন। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগের এক প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, খালেদা জিযার দন্ড মওকুফের আগে মুক্তির বিষয়ে আইন ও বিচার বিভাগ, আইন বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মতামতের আলোকে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধানের ৪৯ অনুচ্ছেদে প্রদত্ত ক্ষমতাবলে মহামান্য রাষ্ট্রপতি াবংলাদেশের সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের ক্রিমিনাল আপিল নং-১৬৭৬/১৮ (বিশেষ আদালত নং-০৫, ঢাকা এর বিশেষ মামলা নং ১৭/২০২৭ থেকে উদ্ভুত) এবং বিশেষ আদালত নং ০৫, ঢাকা এর বিশেষ মামলা নং-১৮/২০১৭ এ প্রদত্ত দন্ডাদেশ মওকুফপূর্বক নির্দেশক্রমে মুক্তি প্রদান করা হইল।
সংবিধানের ৪৯ অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, কোনো আদালত, ট্রাইব্যুনাল বা অন্য কোনো কর্তৃপক্ষের দেওয়া যে কোনো দন্ডের মার্জনা, বিলম্বন ও বিরাম মঞ্জুর করার এবং যে কোনো দন্ড মওকুফ, স্থগিত বা হ্রাস করার ক্ষমতা রাষ্ট্রপতির থাকবে।
সাবেক এই প্রধানমন্ত্রীর স্থায়ীভাবে মুক্তির আদেশ হওয়ায় বিদেশে চিকিৎসার আর কোনো বাধা থাকলো না। বেগম জিয়া এখনো রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। চিকিৎসকদের পরামর্শ পেলে তিনি যে কোনো সময় চিকিৎসার জন্য বিদেশে যেতে পারেন।
প্রতিবছরই বিএনপি ও অঙ্গ দলগুলো খালেদা জিয়ার জন্মদিন পালন করে থাকে। প্রায় প্রতি বছর রাত বারোটা এক মিনিটে (১৫ আগস্ট রাত ১২টা ১ মিনিট) গুলশান কার্যালয়ে খালেদা জিয়ার উপস্থিতিতে বিএনপি এবং অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা কেক কেটে দলীয় নেত্রীর জন্মদিন পালন করে। কিন্তু পলায়নকারী সরকারের কারণে জন্মদিন পালনে নানা বিধি নিষেধসহ হুমকি ধামকি প্রদাণ করা হয়। এবার খালেদা জিয়া মুক্ত। তারপরও দলের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিক কোনো উৎসব না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিএনপি।
জা ই / এনজি