রাত ৪:৩০ | বৃহস্পতিবার | ১৭ই এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ৪ঠা বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, গ্রীষ্মকাল | ১৮ই শাওয়াল, ১৪৪৬ হিজরি

এটিএম আজহারুলের আইনজীবী : আন্তর্জাতিক অপরাধ মামলার পুরো প্রক্রিয়া চ্যালেঞ্জ করেছি

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

 

মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত জামায়াত নেতা এটিএম আজহারুল ইসলামের আইনজীবী ব্যারিস্টার এহসান এ সিদ্দিকী বলেছেন, আমরা আন্তর্জাতিক অপরাধ মামলার পুরো প্রক্রিয়াকে চ্যালেঞ্জ করেছি। মৃত্যুদণ্ডের রিভিউ থেকে ফের আপিল শুনানি হবে- মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলার ক্ষেত্রে এটাই প্রথম নজির বলেও জানান তিনি।

বুধবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগের বেঞ্চ এদিন এটিএম আজহারুলের রিভিউ আবেদনের শুনানিতে লিভ (আপিলের অনুমতি) মঞ্জুর করে আদেশ দেন। পরে সুপ্রিম কোর্টের এনেক্স ভবনের সামনে তার আইনজীবী ব্যারিস্টার এহসান এ সিদ্দিকী সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।

এই আইনজীবী বলেন, আবদুল কাদের মোল্লাকে যে রায়ের মাধ্যমে সাজা দেওয়া হয়েছে তা ভুল ছিল। সেটাকে আমরা চ্যালেঞ্জ করেছি। আদালত যদি আমাদের বক্তব্য গ্রহণ করেন তাহলে আবদুল কাদের মোল্লা থেকে শুরু করে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে যত আসামির সাজা হয়েছে, সে বিষয়ে অবশ্যই প্রশ্ন উঠবে।

তিনি বলেন, ভুল প্রক্রিয়ায় সাজা হয়েছে কি না, সে বিষয়টি আমরা আলোচনায় নিয়ে আসতে পারবো এবং তা আদালতে উপস্থাপন করতে পারবো।

তিনি বলেন, আজ চারটি গ্রাউন্ডে এটিএম আজহারুল ইসলামের রিভিউ অ্যাপ্লিকেশনটি এলাও (অনুমোদন) করে লিভ গ্রান্ট (মঞ্জুর) করেছেন আপিল বিভাগ। আগামী ২২ এপ্রিল মূল আপিলটির ওপর শুনানির জন্য দিন ধার্য করা হয়েছে।

তিনি বলেন, প্রথম গ্রাউন্ড হচ্ছে- আপিল বিভাগ ২০১৯ সালে আদালত যে রায় দিয়েছিলেন, সেখানে ওনারা ইন্টারন্যাশনাল ল মানেননি। এবং আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল অ্যাক্ট-১৯৭৩ সালের আইনে ইন্টারন্যাশনাল ল অ্যাপ্লাই করার কথা থাকলেও তা করা হয়নি। অর্থাৎ ১৯৭৩ সালের আইনে ইন্টারন্যানল ল কমপ্লাই করার কথা ছিল, কিন্তু সেটা তারা মানেননি। এই মূল গ্রাউন্ডে রিভিউ এলাও (অনুমোদন) হয়েছে।

দ্বিতীয় গ্রাউন্ড হচ্ছে- ওনারা আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল অ্যাক্ট-১৯৭৩ উদ্দেশ্যমূলকভাবে ব্যাখ্যা করেছেন। সেই আইনে স্পষ্ট বলা আছে, আন্তর্জাতিক আইন মেনে রায় দিতে হবে, কিন্তু ওনারা সেটা মানেননি এবং ওনারা যে ব্যাখ্যা দিয়েছেন সেটা আন্তর্জাতিক আইনের বিরুদ্ধে ছিল। এই গ্রাউন্ডেও রিভিউ অ্যাপ্লিকেশনটি এলাও হয়েছে।

তৃতীয়ত স্পেকচ্যুয়াল পয়েন্ট: মামলার সাক্ষী ঘটনার সময় আসামিকে অনেক দূর থেকে দেখেছেন, তিন কিলোমিটার দূর থেকে, পাঁচ কিলোমিটার দূর থেকে চিহ্নিত করেছেন, যা কোনো মানুষের পক্ষে সম্ভব না।

চতুর্থ গ্রাউন্ড হলো এভিডেন্সগত বিষয়: একজন সাক্ষ্য দিয়ে বলেছেন এটিএম আজহারুল ইসলাম তার ক্লাসমেট ছিলেন। প্রকৃতপক্ষে তিনি আজহারুল ইসলামের ক্লাসমেট ছিলেন না।

 

 

জ উ/ এনজি

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *