রাত ৮:৩৮ | সোমবার | ১৪ই এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ১লা বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, গ্রীষ্মকাল | ১৫ই শাওয়াল, ১৪৪৬ হিজরি

এক দশক পর পরিবারের সঙ্গে ঈদ করছেন খালেদা জিয়া

নিজস্ব প্রতিবেদক

২৯ মার্চ ২০২৫

 

 

দীর্ঘ ১০ বছর পর যুক্তরাজ্যের লন্ডনে পরিবারের সঙ্গে ঈদ উদযাপন করছেন বিএনপি চেয়ারপার্সন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া। ২০১৫ সালের পর আবার ছেলে, পুত্রবধূ ও নাতি-নাতনিদের সঙ্গে ঈদ করছেন তিনি। মাঝের বছরগুলোয় খালেদা জিয়া কিছুদিন কারাগারে এবং পরে বাসায় অন্তরীণ ছিলেন। এর মধ্যে একাধিক ঈদ হাসপাতাল ও কারাগারে পালন করতে হয়েছে তাকে।

সূত্র মতে, খালেদা জিয়া ২০১৫ সালে যখন লন্ডনে ঈদুল আজহা উদযাপন করেন, তখনও তার বড় ছেলে তারেক রহমান ও তার স্ত্রী-সন্তানরা সঙ্গে ছিলেন। ছিলেন ছোট ছেলে মরহুম আরাফাত রহমান কোকোর স্ত্রী-সন্তানরাও। কোকোর মৃত্যুর পর সেটি ছিল জিয়া পরিবারের জন্য এক দুঃসহ স্মৃতিময় ঈদ।

গত কয়েক বছরের তুলনায় এখন খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা বেশ ভালো। তাই পরিবর্তিত রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে এবারের ঈদ জিয়া পরিবারের জন্য অন্য রকম হবে।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য বেগম সেলিমা রহমান বলেন, ঈদ মানে পরিবারের সঙ্গে উদযাপন। আওয়ামী লীগ সরকারের কারণে তা হয়নি। এবার জিয়া পরিবার একসঙ্গে ঈদ করবে, সেটা দেশবাসী ও বিএনপি নেতাকর্মীদের জন্যও আনন্দের বিষয়। বিশেষ করে অসুস্থ খালেদা জিয়া সন্তান ও পরিবারের অন্যদের সাথে ঈদ করবেন এটা নেতাকর্মীদের জন্যও আনন্দের বিষয়।

বেগম খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসক ও দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন জানান, বিএনপি চেয়ারপার্সনের শারীরিক অবস্থা আগের চেয়ে উন্নতির দিকে। যা খালেদা জিয়ার পরিবার ও সমর্থকদের জন্য আশা জাগানিয়া। তিনি এবার আপনজনদের নিয়ে ঈদ করবেন। এতে করে তিনি শারীরিক ও মানসিকভাবে মনোবল আরও বৃুদ্ধি পাবে।

দলের নেতারা জানান, খালেদা জিয়া ঈদের পর বাংলাদেশে ফেরার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন। এপ্রিলে তার দেশে ফেরার কথা হচ্ছে। লন্ডনে যাওয়ার সময় কাতার সরকার খালেদা জিয়ার চিকিৎসার জন্য এয়ার অ্যাম্বুল্যান্স সরবরাহ করেছিল।

২০০৭ সালের ১১ জানুয়ারি তত্ত্বাবধায়ক সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর খালেদা জিয়া এবং তার দুই ছেলে তারেক রহমান ও আরাফাত রহমান গ্রেপ্তার হন। ২০০৮ সালের ৩ সেপ্টেম্বর তারেক রহমান জামিনে মুক্তি পান। ১১ সেপ্টেম্বর চিকিৎসার জন্য তিনি লন্ডনে পাড়ি জমান। সেই থেকে তিনি পরিবার নিয়ে লন্ডনে অবস্থান করছেন। ওই সময় আরাফাত রহমান প্যারোলে মুক্তি পেয়ে চিকিৎসার জন্য প্রথমে থাইল্যান্ডে যান। পরবর্তী সময় সেখান থেকে তিনি সপরিবারে মালয়েশিয়া চলে যান। সেখানে ২০১৫ সালের ২৪ জানুয়ারি আরাফাত রহমান মারা যান। এরপর ওই বছরের ১৬ সেপ্টেম্বর খালেদা জিয়া লন্ডন যান। সেখানে তারেক রহমানের বাসায় তারা ঈদ উদযাপন করেন।

 

জা ই / এনজি

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *