নিজস্ব প্রতিবেদক
০৭ নভেম্বর ২০২৪
পতিত আওয়ামী স্বৈরাচার সরকারের সর্বোচ্চ সুবিধাভোগীরা এবার ভোল পাল্টে বিএনপির পতাকাতলে সমবেত হওয়ার চেষ্টা করছে। এর অংশ হিসেবে ঢাকার নবগঠিত উত্তর মহানগরের নেতাদের পুস্পমাল্য অর্পনের ছবি ব্যবহার করে সুকৌশলে হাইব্রীড বিএনপি নেতা বনে যেতে চাচ্ছে অনেকে। বুধবার ছাত্র হত্যা মামলার আসামী আশিয়ান সিটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক সাইফুল ইসলামের সঙ্গে উত্তর বিএনপির আহবায়ক আমিনুল হকের ফুল আদান প্রদানের অন্তরঙ্গ ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে তোলপাড় শুরু হয়।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বিগত সরকারের আমলে রাস্ট্রীয় প্রভাবশালীদের ম্যানেজ করে জমি দখল, হত্যাসহ এমন কোন অপকর্ম নেই য়ে আশিয়ান সিটি চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক সাইফুল ইসলাম করেনি। এনিয়ে বিভিন্ন থানার পাশাপাশি দুদকেও একাদিক মামলা হয়েছে।
অভিযোগ আছে, আশিয়ান সিটি হাউজিং প্রকল্পে ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট রাজস্ব সার্কেলের আওতাভুক্ত বরুয়া, দক্ষিণখান ও উত্তরখান মৌজায় ৭ দশমিক ৮৯২৫ একর সরকারি খাস খতিয়ানভুক্ত জমি অবৈধভাবে বালু দিয়ে ভরাট করে দখল করেন। প্রতিষ্ঠিানটি প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেট্রনিক মিডিয়ায় চটকদার বিজ্ঞাপন দিয়ে দখল করা জমি হাউজিং প্লট হিসেবে সাধারণ জনগণের কাছে বিক্রি করেন। তাদের দখল করা জমির বর্তমান বাজার মূল্য আনুমানিক ১০০ কোটি টাকা। যে কারণে তার বিরুদ্ধে দন্ডবিধির ৪২০ ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। নিজেদের অপকর্ম ঢাকতে আওয়ামী লীগের এমপি
আওয়ামী লীগ নেতার সঙ্গে সখ্যতা রাখতেন। সর্বশেষ নির্বাচনেও আওয়ামী লীগ নেতার পক্ষে শুধু নির্বাচনে প্রচারেই অংশ নেনিনি, জেতাতে অর্থের জোগানও দিয়েছিলেন। সর্বশেষ বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে ছাত্র হত্যার মতো জঘন্য কাজে নিজেদের জড়িয়ে হত্যা মামলার আসামী হয়েছেন। গত ১৭ বছর নজরুল ও সাইফুল সরকার সব ধরনের সুযোগ নিলেও গত ৫ আগষ্ট সরকারের পতনের পর ভোল পাল্টানোর চেস্টা করে। বিএনপির বিভিন্ন নেতার দারস্থ হয়। সর্বশষ গত ৫ নভেম্বর ঢাকা মহানগর উত্তরের নতুন কমিটি ঘোষনা হওয়ার পর নেতাদের সহনুভুতি পেতে তাদের কাছে ছুটে যান। অনেক নেতার সঙ্গে আর্থিক লেনদেনের সম্পর্কও গড়ে তুলেন বলেও রয়েছে অভিযোগ।
সর্বশেষ বুধবার ছাত্র হত্যা মামলার আসামী আশিয়ান সিটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক সাইফুল ইসলামের সঙ্গে উত্তর বিএনপির আহবায়ক আমিনুল হকের ফুল আদান প্রদানের অন্তরঙ্গ ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। এনিয়ে বিএনপিতে শুরু হয় আলোচনা সমালোচনা। এমন চিহ্নিত আওয়ামী দোসরদের সঙ্গে বিএনপি নেতাদের অন্তরঙ্গের বিষয় অনেক নেতাকর্মী মেনে নিতে পারছেন না।
এবিষয়ে জানতে চাইলে আমিনুল হক বলেন, কমিটি ঘোষনার পর অসংখ্য লোকজন আসছে ফুলের তোড়া নিয়ে। অনেকের পরিচয় জেনে না জেনে শুভেচ্ছা বিনিময় হচ্ছে। তবে এব্যাপারে আরো সতর্ক হতে হবে।
টি আই /এনজি
/