ভোর ৫:৪২ | রবিবার | ২০শে এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ৭ই বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, গ্রীষ্মকাল | ২১শে শাওয়াল, ১৪৪৬ হিজরি

আমার নয়, আটক নিরপরাধ শিক্ষার্থীর খোঁজ নিন: ঢাবি শিক্ষক

নিজস্ব প্রতিবেদক
৩১ জুলাই ২০২৪

কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের ‘মার্চ ফর জাস্টিস’ কর্মসূচিতে অংশ নেওয়া এক শিক্ষার্থীকে আটকের সময় বাধা দেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) লোকপ্রশাসন বিভাগের প্রভাষক শেহরিন আমিন ভুইয়া মোনামি। এসময় পুলিশ সদস্যরা তাকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেন। এতে আহত হয়েছেন ওই শিক্ষক।

ঢাবির শিক্ষককে ধাক্কা দিয়ে ফেলার ঘটনায় নিন্দা জানান অনেকে। অনেকে আবার আহত শিক্ষক শেহরিন আমিনের খোঁজখবর নেওয়ার চেষ্টা করেন। এজন্য তার মোবাইল নম্বর, হোয়াটসঅ্যাপ ও মেসেঞ্জারে অনেকে কল দিচ্ছেন।

তবে শেহরিন আমিন তার ব্যাপারে খোঁজ না নিয়ে শুভাকাঙ্ক্ষীদের আটক ওই শিক্ষার্থীর খোঁজখবর নেওয়ার অনুরোধ জানিয়েছেন। বুধবার (৩১ জুলাই) বিকেল ৪টার দিকে নিজের ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে এ অনুরোধ জানান তিনি।

শেহরিন আমিন লিখেছেন, ‘শিক্ষার্থী, সহকর্মী এবং শুভাকাঙ্ক্ষীদের কাছ থেকে অসংখ্য কল পাচ্ছি। আমি ক্ষমা চাইছি, কারণ সবার ফোন কল রিসিভ করতে পারছি না। আজকের ঘটনাটি হঠাৎ ঘটেছে এবং আমি এখনো হতবিহ্বল।’

তিনি আরও লেখেন, ‘তবে আমি বেশি দুশ্চিন্তায় রয়েছি ওই নিরপরাধ শিক্ষার্থীকে নিয়ে যাকে আমি তাদের হাত থেকে ফিরিয়ে আনতে পারিনি। যদি সম্ভব হয় দয়া করে তার নিরাপত্তার বিষয়টি নিয়ে খোঁজখবর নেন। বর্তমানে সে কোথায় আছে এবং তার অবস্থা কেমন?’এর আগে দুপুর সোয়া ১টার দিকে ঢাবিসহ বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা জড়ো হয়ে হাইকোর্টের দিকে মিছিল নিয়ে যাত্রা শুরু করেন। শিশু একাডেমির সামনে গেলে পুলিশ তাদের বাধা দেয়। পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তির একপর্যায়ে কয়েকজনকে আটক করা হয়।

পুলিশের বাধার পর মিছিল নিয়ে শিক্ষার্থীরা দোয়েলে চত্বরে অবস্থান নেন। সেখানে বুয়েটসহ বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরাও আসতে থাকেন। পরে তাদের সঙ্গে যোগ দেন শিক্ষক ও আইনজীবীরা।

ওই সময় হঠাৎ পুলিশ শিক্ষার্থীদের আবারও আটক করতে গেলে তাতে বাধা দেন শিক্ষক শেহরিন আমিন ভুইয়া মোনামি। এসময় পুলিশ সদস্যরা তাকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেন।

জানতে চাইলে শেহরিন আমিন  বলেন, ‘ক্যাম্পাস এলাকার মধ্য থেকে তো কোনো শিক্ষার্থীকে প্রশাসনের অনুমতি ছাড়া পুলিশ আটক করতে পারে না। আমি সেটাই জানতে চেয়েছিলাম এবং বাধা দিয়েছিলাম। তারা আমার হাতে মোচড় দিয়ে ধাক্কা মেরে ফেলে দিয়েছেন। তারপর ছেলেটাকে টেনেহিঁচড়ে নিয়ে গেছেন। জানি না তার এখন কী অবস্থা?’

এএএইচ/ এনজি

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *