সকাল ১১:২৮ | মঙ্গলবার | ৮ই এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ২৫শে চৈত্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, বসন্তকাল | ৯ই শাওয়াল, ১৪৪৬ হিজরি

অভিনেত্রীর চিৎকার, ‘লোকটা আমাকে খারাপ কিছু দেখাচ্ছে’

বিনোদন ডেস্ক
১৫ মার্চ ২০২৫

ওয়েব সিরিজ ‘শি’-তে অভিনয় করে সাড়া ফেলেছিলেন অদিতি পোহানকার। মুম্বাই শহরের আনাচে কানাচে সেই সিরিজের শুটিং করেছিলেন তিনি। রাতের মুম্বাই শহরের চিত্রও তুলে ধরা হয়েছিল যেখানে।

সেই মুম্বাই শহরেই ভয়াবহ অভিজ্ঞতার মুখোমুখি হয়েছিলেন অভিনেত্রী। সম্প্রতি ভারতীয় এক সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে সেই অভিজ্ঞতার কথা জানান তিনি।

দু’টি ঘটনার কথা তুলে ধরেছেন অদিতি। অভিনেত্রী বলেছেন, “আমার সঙ্গে দুটি ঘটনা ঘটেছে। আমার মা শিক্ষিকা ছিলেন। আমাদের আবাসন থেকে একটা বাস পেতাম। সেই বাসেই স্কুলে যেতাম। কিন্তু পঞ্চম শ্রেণির পরেই বলা হয়, রাস্তা থেকে বাসে উঠে স্বাধীনভাবে আসতে।”

একদিন বাসে উঠেই ভয়ানক অভিজ্ঞতা হয়েছিল তার। সঙ্গে ছিল তার মায়েরই এক ছাত্র। অদিতি তাকে দাদা বলে ডাকতেন। সেই ছেলেটি বাসে উঠে বসার পরে নিজের কোল থেকে ব্যাগ সরিয়ে গোপনাঙ্গ দেখতে বলেছিল অদিতিকে। তবে অভিনেত্রী চুপ থাকেননি।

অদিতি বলেছেন, “প্রথমে আমি হাসি। কিন্তু তার র ওর চোখের দিকে তাকাতেই বুঝি, উদ্দেশ্য ভালো না। সঙ্গে সঙ্গে উঠে দাঁড়িয়ে চিৎকার করে বলি, এই লোকটা আমাকে খারাপ কিছু দেখাচ্ছে। ও চমকে গিয়েছিল। প্যান্টের চেন আটকাতেও ভুলে গিয়েছিল। ওর প্যান্ট তখন প্রায় খুলে যাওয়ার অবস্থা। সেই অবস্থাতেই চলন্ত বাস থেকে লাফ দিয়েছিল।”

অদিতির প্রতিবাদের কথা শুনে তার মা পিঠ চাপড়েছিলেন।

আরেকটি ঘটনা মুম্বাইয়ের লোকাল ট্রেনে। অদিতির কথায়, “লোকাল ট্রেনে যাতায়াত করতাম। ট্রেনের প্রথম শ্রেণিতে স্কুলের ছেলেদের যাতায়াতের অনুমতি ছিল। তখন আমি একাদশ শ্রেণিতে পড়ি। মহিলাদের কামরায় ১৮ বছরের নীচের পড়ুয়ারা উঠতে পারত, স্কুলের পোশাক পরা থাকলে।”

এমনই একদিন স্কুলের পোশাকে একটি ছেলে মহিলা কামরায় ওঠে। দরজার কাছেই দাঁড়িয়েছিলেন অদিতি। সেই ছেলেটিও পাশেই ছিল। স্টেশন থেকে ট্রেন ছাড়তেই যৌন হেনস্থার শিকার হয়েছিলেন অভিনেত্রী।

তার কথায়, ‘স্টেশন থেকে ট্রেন ছাড়ার পরেই আমার স্পর্শকাতর স্থানে হাত দিয়েছিল।’ পরের স্টেশনেই নেমে যান অদিতি। অভিনেত্রী বলেছেন, “পুলিশকে জানাতেই তারা জিজ্ঞেস করে, কী হয়েছে? আমি জানাই, আমাকে মানসিকভাবে হেনস্থা করা হয়েছে। পাশেই ছেলেটি ছিল। আমি শনাক্ত করি। তারপরে পুলিশকে জানাই পুরো ঘটনা। কিন্তু পুলিশ আমার কাছে প্রমাণ চেয়েছিল।”

বয়সে অদিতির চেয়ে ২-৩ বছরের ছোট ছিল সেই ছেলেটি। পুলিশ ছেলেটিকে প্রশ্ন করতেই সে অস্বীকার করে। তখন অদিতি নিজেই মারতে যান। বেগতিক দেখে ছেলেটি ক্ষমা চেয়ে পুরো ঘটনা স্বীকার করে।

 

ফা আ/ এনজি

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *