রাত ১২:৩২ | রবিবার | ২০শে এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ৭ই বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, গ্রীষ্মকাল | ২১শে শাওয়াল, ১৪৪৬ হিজরি

অবিচার-নির্মমতা প্রতিরোধে সকলকে অঙ্গীকারাবদ্ধ হওয়া অত্যন্ত জরুরী : তারেক রহমান

নিজস্ব প্রতিবেদক

২৪ ডিসেম্বর ২০২৪

 

 

সব ধরণের অবিচার নির্মমতা প্রতিরোধে সকলকে অঙ্গীকারাবদ্ধ হওয়ার আহবান জানিয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। শুভ বড়দিন উপলক্ষে বাংলাদেশসহ বিশ্বের সকল খৃষ্ট ধর্মাবলম্বীকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে আজ মঙ্গলবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তিনি একথা বলেন।

বিবৃতিতে তারেক রহমান বলেন, সত্যনিষ্ঠা, ন্যায়নীতি, শান্তি, করুণার দিশারী মহান যীশুখৃষ্টের এদিনে পৃথিবীতে আগমণ ঘটে। বিশ্বের সকল খৃষ্ট ধর্মাবলম্বীর কাছে তাই এ দিনটি অত্যন্ত পবিত্র ও মহিমান্বিত। তিনি এসেছিলেন মানবিক বন্ধনকে আরও সুদৃঢ় করতে। বিশ্বের একটি বড় জনগোষ্ঠীর মানুষ যীশুখৃষ্টের ধর্ম ও দর্শণের অনুসারী।

তিনি বলেন, সকল ধর্মের মর্মবাণী শান্তি, সহাবস্থান ও মনুষ্যত্বের অনুসন্ধান। যুগে যুগে মহামানবগণ নিঃস্বার্থ আত্মনিবেদনের মাধ্যমে মানুষকে সত্য ও ন্যায়ের পথে চলার পথপ্রদর্শক হয়েছিলেন। মানুষকে অনুপ্রাণিত করেছিলেন অসত্যের বিনাশ সাধণ করে উন্নত নৈতিক উৎকর্ষতা অর্জনের মধ্য দিয়ে সমষ্টিগত সুখময় জীবন গড়ে তুলতে। মহান যীশুখৃষ্টও একইভাবে তার অনুসারীদের নিরলস, একনিষ্ঠভাবে মানবপ্রেমে উদ্বুদ্ধ করেছেন। শুভ বড় দিন একটি সর্বজনীন র্ধর্মীয় উৎসব। আর উৎসব মানুষের আনন্দময় সত্ত্বার জাগরণ ঘটায়। উৎসবের মর্মস্থলে রয়েছে সম্প্রীতি, সহাবস্থান ও শুভেচ্ছা।

তারেক রহমান বলেন, মানুষ হিসেবে আমাদের কর্তব্য দেশ, সমাজ ও মানুষের কল্যাণে যার যার অবস্থান থেকে কাজ করে যাওয়া। অসুয়া, হিংসা ত্যাগ করে সমাজে শান্তি ও স্থিতি প্রতিষ্ঠা এবং সব ধরণের অবিচার-নির্মমতা প্রতিরোধে আমাদের সকলকে অঙ্গীকারাবদ্ধ হওয়া অত্যন্ত জরুরী। মহামানবদের জীবন দর্শন যথাযথভাবে উপলব্ধি করতে পারলেই মানবকল্যাণে নিজেদেরকে সম্পৃক্ত করা সম্ভব। আর তাহলেই স্রষ্টার সন্তষ্টি অর্জনে আমরা সক্ষম হবো। তারেক রহমান বড়দিনের সকল কর্মসূচির সর্বাঙ্গীণ সাফল্য কামনা করেন।

এদিকে অপর এক বাণীতে বড়দিন উপলক্ষে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম বলেন, ২৫ ডিসেম্বর খৃষ্ট ধর্মাবলম্বীদের কাছে এই দিনটি মহিমান্বিত একটি দিন। বাংলাদেশেও দিনটি সমমর্যাদায় প্রতিবছর উদ্যাপিত হয়। খৃষ্টধর্ম বিশ্বাসীদের মতে, মানুষকে সমস্ত রকম পাপ থেকে মুক্তি দিতে যীশুকে পৃথিবীতে পাঠিয়েছিলেন ইশ্বর। মহামানবগণ সর্বকালে মানুষকে গহীন অন্ধকারের পথ থেকে আলোর পথে ঠিকানা দিয়েছেন। স্রষ্টার সন্তুষ্টি অর্জনের মাধ্যমে ইহলৌকিক শান্তি ও পারলৌকিক মুক্তির জন্য সত্য ও ন্যায়ের পথে পরিচালিত হতে সবাইকে প্রেরণা যুগিয়েছেন।

 

জা ই / এনজি

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *