নিজস্ব প্রতিবেদক
২৯ সেপ্টম্বর ২০২৪
অন্তবর্তীকালীন সরকারের কাছে দ্রুত নির্বাচনের রোডম্যাপ চান মেজর অব. হাফিজ উদ্দিন আহমেদ। আজ রোববার দুপুরে এক আলোচনা সভায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য এই মন্তব্য করেন।
তিনি বলেন, এই সরকারের প্রথম থেকে চেষ্টা করা উচিত ছিলো একটি ভালো নির্বাচন কমিশন বসাবার জন্যে। কিন্তু নির্বাচন কমিশন নিয়ে কোনো কথা-বার্তা নাই। তারা কোনো রোড ম্যাপ দেয় না। কবে নির্বাচন দেবে তাও বলে না। তারা কি সংস্কার করছে? ছয়টি বিষয়ে সংস্কারের কথা বলেছে, অন্যান্য সংস্কারের ব্যাপারে তারা নিশ্চুপ আছে। আমরা বলতে চাই, এক মাস যথেষ্ট সময়। এখানে (অন্তর্বর্তীকালীন সরকার) যারা আছে তারা দেশের কৃতি সন্তান, তাদের মেধা আছে, তারা বলুক।
মুক্তিযোদ্ধা দলের সভাপতি ইশতিয়াক আজিজ উলফাতের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা আবদুস সালাম. সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক জয়নুল আবেদীন, গণঅধিকার পরিষদের আহ্বায়ক নুরুল হক নুর, এবি পার্টির সাংগঠনিক সম্পাদক আসাদুজ্জামান ফুয়াদ ও বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা মনীষ দেওয়ান প্রমূখ বক্তব্য রাখেন।
সাবেক মন্ত্রী হাফিজ উদ্দিন বলেন, হাসিনার প্রেতাত্নারা এই সরকারের ওপর ভর করে আছে। পুরো পুলিশ বাহিনী, অন্যান্য বাহিনী, সব তো হাসিনার লোকেরা এখানে আছে। তারা এখনো বহাল তবিয়তে আছে। তিনি বলেন, এই সরকারকে ব্যর্থ হতে দেয়া যাবে না। আমরা তাদের সাফল্য চাই, সঠিক উপদেশ-পরামর্শ আমরা দিতে চাই। এদেশের ব্রাইট সন্তান হলো এই মুক্তিযোদ্ধারা। এই সরকারের উচিত ছিলো প্রথমেই এই মুক্তিযোদ্ধাদের সাথে বৈঠক করা। তারা এদেশটা স্বাধীন করেছে, কি স্বপ্ন তারা ধারণ করেছে, কি স্বপ্ন এখনো বাস্তবায়ন হয় নাই সেটি সরাসরি রনাঙ্গনে যুদ্ধ করেছে তাদের কাছ থেকে শুনে নেয়া উচিত ছিলো। আমি আশা করব, প্রধান উপদেষ্টা দেশে ফিরে মুক্তিযোদ্ধাদের সাথে বসবেন। কারণ অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনুস একজন মুক্তিযোদ্ধা, তিনি আমেরিকাতে মুক্তিযুদ্ধের সময়ে বলিষ্ঠ ভূমিকা রেখেছেন।
লুটেরাদের বিচার চাই মন্তব্য করে হাফিজ বলেন, এই বিপ্লব সেইদিনই সম্পন্ন হবে, যেদিন ১৭ বছর লুটতরাজ যারা করেছে, দেশের ব্যাংক সমূহকে যারা ফোকলা করে দিয়েছে, যারা মানুষ হত্যা করেছে, যারা গুম-খুন করেছে, তাদের শাস্তির বিধান যেদিন করা হবে, সেদিনেই এই বিপ্লব সাফল্যমন্ডিত হবে। আমরা এই বিপ্লবের সাফল্য দেখতে চাই। আমাদের প্রধান করণীয় হলো আমরা এমন একটি রাষ্ট্র ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠিত করবো, বাংলাদেশে যারা একাত্তরের চেতনাকে বাস্তবায়িত করবে, আগস্ট বিপ্লবের সাফল্যকেও যারা জনগনের দ্বারগোড়ায়ে নিয়ে আসবে, সেটাই হোক আমাদের আজকের দিনের অঙ্গীকার।
নির্বাচিত সংসদই সংবিধান সংশোধনের অধিকার রাখে বলে মন্তব্য করেছেন হাফিজ উদ্দিন আহমেদ। তিনি বলেন, এদেশে সংবিধান সংশোধন করার অধিকার একমাত্র নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের, এই কথাটি ভুলে যাবেন না। যতই পিএইচডি ডিগ্রি থাকুক, এটা নিয়ে আপনারা সংবিধান সংশোধন করতে পারবেন না। আপনারা সুপারিশমালা দিতে পারেন, আপনাদের প্রস্তাব রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে আলাপ-আলোচনা করে দেখতে পারেন, রাজনৈতিক দলগুলো যদি গ্রহনযোগ্য মনে করে সেটি তাদের নির্বাচনী ইশতেহারে দিয়ে জনগনের ম্যান্ডেট তারা নিয়ে নেবেন। কিন্তু নির্বাচিত প্রতিনিধি ছাড়া অন্যভাবে সংবিধান সংশোধন করা যায় না।
জা ই / এনজি